শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন
রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন

নিজেস্ব প্রতিবেদক : এবারও গাছ থেকে নামানোর সময় বেঁধে দিল প্রশাসন। বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে কৃষিবিদ, ফল গবেষক, চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করে জেলা প্রশাসন আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর যেসব জাতের আম যেদিন থেকে নামানো শুরু হয়েছিল, এবারও তাই। এর মধ্যে সব ধরনের গুটি জাতের আম নামানো যাবে আগামী ১৫ মে থেকে। আর উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ২০ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রাণীপছন্দ ২৫ মে এবং হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে থেকে নামিয়ে হাটে তুলতে পারবেন বাগানমালিক ও চাষিরা।

এছাড়া ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামানো যাবে। নির্ধারিত সময়ের আগে আম বাজারে পেলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তবে কারও বাগানে নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকলে তা প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ভার্চুয়াল সভা শেষে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাজারে পরিপক্ব ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে প্রতিবছরই রাজশাহীতে তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এবারও সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে আমের বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়েছে। হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনাররাও বিষয়টি দেখভাল করবেন।

রাজশাহীতে সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ^রে। এছাড়া পুঠিয়ার বানেশ^র, বাঘার আড়ানী, মনিগ্রাম, বাউসা ও পাকুড়িয়া এবং মোহনপুরের কামারপাড়ায় পাইকারী আমের হাট বসে। ইতোমধ্যেই হাটগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহীতে এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। গত বছর ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এবার বাগান বেড়েছে ৩৭৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর হেক্টর প্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে জেলায় এ বছর মোট দুই লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply